Saturday, September 5, 2015

আপনি কি স্ত্রীর কুমারীত্ব নিয়ে সন্দেহ? সমাধান নিন ভিডিওসহ

প্রশ্নঃ আমি আমার স্ত্রীর সাথে একদিন সেক্স করেছি। ও পিল খাচ্ছে। এটা কতদিন খেতে হবে?? সংগত কারণে আর সেক্স হয়নি। আর কতদিন পর বোঝা যাবে ওর পেটে বাচ্চা আসছে? ৪ দিন পর বমি বমি লাগছিল নাকি। তাহলে কি ও মা হতে চলেছে?? আরেকটি কথা, ওর যোনি তে যে পাপরির মত অংশটা সেটা উপর দিয়ে একটু ফাটা মতন দেখা যায়, তার মানে কি ও আরও সেক্স করেছে আগে? জানান প্লিজ। আমার সংসার বাচাতে এটা জানা খুব জরুরি। উঃ গর্ভনিরোধোক বড়ি নিয়মিত খেতে হয়।



 যতদিন বাচ্চা-কাচ্চা চাও না ততদিন রোজ এই বড়ি খেতে হয়। এই সম্মন্ধে বিস্তারিত জানতে জন্মনিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পোস্টগুলি দেখ। পেটে বাচ্চা আসার সবথেকে বড় প্রমাণ পিরিওড বা মাসিক না হওয়া। বমি বমি ভাব কেবল গর্ভবতী হলেই হয় না, অন্যান্য পেটের রোগ থেকেও বমি বমি লাগতে পারে। প্রেগন্যান্সিতে বমি বমি ভাব সাধারণত গর্ভসঞ্চারের এক মাস পর থেকেই শুরু হয়। তবে এখানে উল্লেখ্য বমি বমি ভাব হলে বা পিরিওড মিস হলেই যে কোন নারী প্রেগন্যান্ট হয়েছে এটা ভাবার কোন মানে নেই। কারণ অন্যান্য বিভিন্ন কারণেও পিরিওড মিস হতে বা বমি বমি লাগতে পারে। তোমার স্ত্রীর পেটে বাচ্চা এসেছে কিনা সেটা ঠিকভাবে জানতে হলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাও। ঘরে বসেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সবথেকে সহজ উপায় প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট যা যেকোন ওষুধের দোকানে পেয়ে যাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দিনের প্রথম প্রস্রাব দিয়ে খুব সহজে বাথরুমে বসেই এই


টেস্ট করে ফেলা যায়। তবে এই টেস্ট পিরিওড বা রজস্রাব মিস হবার তিন থেকে সাত দিন পর করতে হয়। তোমার শেষ প্রশ্নের উত্তরে বলব সন্দেহ করা ভদ্রলোকের কাজ নয়। কোন নারী কুমারী কি না সেটা কোন রকম শারিরীক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব নয়। কাজেই তুমি তোমার স্ত্রীর যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করে কখওনই জানতে পারবে না যে সে বিয়ের আগে সেক্স করেছে না করেনি। তুমি পাপড়ির মত অংশ বলতে ঠিক কি বোঝাতে চাইছ সেটা পরিষ্কার নয়, তবে তুমি যদি যোনির ভেতরে অবস্থিত সতীচ্ছদ বা হাইমেন নামের পাতলা পর্দার কথা বলে থাক তবে তোমাকে বলে রাখছি যে অনেকের ক্ষেত্রে সেক্স না করলেও হাইমেন ফেটে যেতে পারে, আবার অনেকের ক্ষেত্রে সেক্স করার পরেও হাইমেন ফাটে না। যেমন নাচ শিখলে, সাইকেল চালালে, খেলা-ধুলা করলে, বা কখওনো কোন কারণ ছাড়া এমনিই হাইমেন ফেটে যেতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে হাইমেনের মাঝের ফুটো এমনিতেই এত বড় থাকে যে সেক্স করলেও হাইমেন ফাটে না। কাজেই ওই হাইমেন বা সতীচ্ছদ নামের পর্দা দেখে মেয়েদের কুমারীত্ব বোঝা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য হাইমেন একটি নিরেট পর্দা নয়, এর একপাশে বা মাঝে বা অন্য কোথাও কিছুটা অংশ প্রাকৃতিক কারণেই উন্মুক্ত (ফাটা) থাকে যাতে তার মাধ্যমে মাসিকের রক্ত বের হতে পারে। বিস্তারিত জানতে স্ত্রী যৌনাঙ্গ সম্মন্ধে আমাদের এই পোস্টটি দেখ। আর যদি পাপড়ির মত অংশ বলতে তুমি যোনির ক্ষুদ্রাষ্ঠ বা লেবিয়া মাইনোরা বোঝাও তবে বলব সেটা দেখতেই ওইরকম, ওর আকৃতির সাথে কুমারীত্বের কোন সম্পর্ক নেই। শেষে বলব যে সন্দেহ করবে না। যদি তোমার স্ত্রী বিয়ের আগে কারও সাথে সত্যিই সেক্স করেও থাকে তবে সেটা তো তার অতীত। অতীত নিয়ে অযথা মাথা ঘামিয়ে ভবিষ্যত নষ্ট করার কি অর্থ বল। বিয়ের পর থেকে তোমার সাথে বিশ্বস্ত থাকাটাই তো আসল কথা। কথায় বলে “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর”। ভালো থেকো। বাচ্চা না চাইলে যৌনসঙ্গমের সময় কন্ডোম ব্যবহার কর। কন্ডোম ব্যবহার জন্ম নিয়ন্ত্রণের সবথেকে সহজ ও নিরাপদ উপায়। আর কন্ডোম ব্যবহারে যৌন আনন্দ একটুও কম হয় না। যদি এই ওয়েবসাইট ও এখানে প্রকাশিত তথ্য তোমার ভাল লাগে তবে নতুন পোস্ট সম্মন্ধে তাৎক্ষণিক খবর পেতে ফেসবুকে লাইক কর এবং ডানপাশের সাইডবারে দেওয়া সাবস্ক্রাইব লিঙ্কে নিজের মেইল আই.ডি. লিখে সাবমিট কর।

No comments:

Post a Comment